"জামায়াতে ইসলামীর সামনে যত বাঁধা।"
-----স.ম.মহিউল ইসলাম মাহি
ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেই জামায়াতকে অগ্রসর হতে হবে। জামায়াত এখন যে পজিশনে পলিটিক্স করছে সেখানে টিকে থাকতে গেলে অথবা পজিশনের উন্নতি করতে হলে পিঠের চামড়া অনেক মোটা করা লাগবে।
এখনতো শুধুমাত্র ৭১ প্রশ্নে আটকানোর চেষ্টা করছে। মাঝে মাঝে জং গী নাটকের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি। সামনের দিনগুলোত আরও অনেক বিষয় জড়িত হবে।
অনেকেই মুখের ফুৎকারে নিভিয়ে দিতে চাইবে।কেউ আবার পিপড়ার মত টিপে মেরে ফেলার চিন্তা করবে। এমন সব অভিযোগ উত্থাপন করবে যা দেখে শয়তানও লজ্জাবোধ করে। সমূলে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করবে। আরো কতকি?
সব অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র, বাধা বিপত্তি ধৈর্য সহকারে অতিক্রম করার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদে উচিৎ জবাব দিতে হবে। কেউ একটা কথা বললেই সব কিছু ধ্বংস হয়ে যায়না। আপনার রাজনৈতিক, আদর্শিক প্রতিপক্ষ সকাল-বিকাল কপালে চুমু খাবে এমনটি আশা করবেননা বরং তারা আঘাতের পর আঘাত করবে,নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার জন্য। আপনাকে ডমিনেট করতে পারলেই সে সফল হবে।
বিএনপি জামায়াতকে পরাজিত শক্তি বলছে,মাহফুজ বিএনপির দাবীতে ঘি ঢালছে।এখানে তার স্বার্থ আছে। তারা রাষ্ট্রের কর্ণধার হতে চায় কিন্তু মাহফুজ (NCP) গংদের সামনে পাহাড়ের মত দুটি শক্তি দাঁড়িয়ে আছে, জামায়াত এবং বিএনপি। একারণে তারা একবার বিএনপির উপর চড়াও হচ্ছে আবার ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরে জামায়াতকে চাপ দিচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে তারা একাজ করছে।
বিএনপি মনে করছে নির্বাচন হলে তারা এককভাবে ২২০ এর উপরে আসন নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্টতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে পারবে।একারনে তারা ছোট ছোট কিছু দলকে সাথে রাখলেও সাংগঠনিক শক্তিতে বলীয়ান কোন দলকে তোয়াজ করছেনা।জামায়াতকে কোন স্পেস দিতে একদম রাজি না।বিগত ১৬ বছর ফ্যা সি স্টের অধীনে সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ার কারনে জামায়াতের বর্তমান জনসমর্থন বুঝা যাচ্ছে না। তবে এটা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে জামায়াতের জনসমর্থনের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। একারনে বিএনপি সঙ্ঘবদ্ধভাবে জামায়াতে ইসলামীকে আক্রমণ করছে।
আদর্শিক কারনে বামেরা জামায়াতকে প্রচণ্ড ঘৃণা করে। সুযোগ পেলেই ক্ষতি করে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
আকিদার পার্থক্যের বিষয়টি সামনে রেখে ইসলামি ঘরনার বিরাট একটা অংশ জামায়াতের বিরোধিতা করে।কখনো কখনো তারা বামদের চেয়েও বড় শত্রুতে পরিণত হয়।মনে থাকার কথা সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনেছিলো একজন হুজুর। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী। এই মামলার ভিত্তিতে ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে, ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।কওমী আলেমদের জামায়াত বিরোধিতা একটা ট্রেণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামীলীগ এবং হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার মুল কারিগর যে জামায়াত শিবির সেটা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যা করা এবং সকল নেতাকর্মীদের উপর সীমাহীন জুলুমের প্রতিশোধ হিসেবে জামায়াত-শিবির একাজ করেছে। ব্যানারে নাহিদরা থাকলেও আদতে আন্দোলন গড়ে তোলার মত জনশক্তি বা ইকুইপমেন্ট কোনটিই তাদের ছিলনা।শিবির অদম্য সাহসের সাথে সর্বশক্তি দিয়ে ব্যাকআপ না করলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারতোনা।প্রথমদিকে তারা স্বীকার করেনি। একপর্যায়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ক্রেডিট দাবি করলে শিবির কিছুক্ষেত্রে তাদের ভুমিকা স্পষ্ট করে।এরপর সারজিস,হাসনাত সহ দুই একজন শিবিরের দাবীর সাথে সহমত পোষন করলেও দল গঠনের পরে প্রায় সবাই পিঠ দেখিয়ে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। সবকিছুর উপরে আওয়ামী লীগ একটি গো খ রা সা প। সুযোগ পেলেই তারা আবার ফনা তুলবে এবং জামায়াতকে শেষ করার জন্য ভ য়ং কর ছোবল মারবে।
আন্তর্জাতিকভাবে পয়েন্ট টেবিলে জামায়াত বিএনপি বা NCP র তুলনায় কিছুটা ব্যাকফুটে থাকবে।পশ্চিমারা ইসলাম পন্থী কোন দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না।সেক্ষেত্রে তারা চ র ম দু র্নী তি গ্রস্ত বা ফ্যা সি স্ট কেও প্রমোট করতে পারে। গনতন্ত্র বা মানবাধিকার স্রেফ একটা বুলি মাত্র।
এতসব বাঁধা অতিক্রম করে জামায়াত ইসলামী জনসমর্থন নিয়ে যদি ক্ষমতার কাছাকাছি হয় তাহলে শুরু হবে প্রশাসনিক অসহযোগিতা। জামায়াত ক্ষমতায় আসলে অবাধ দুর্নীতির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রশাসনের অধিকাংশ হাসিনার আমলে রিক্রুট করা।তারা জামায়াতকে কোনভাবেই সহ্য করবেনা।ষড়যন্ত্রের কবলে জামায়াতকে জর্জরিত করে ফেলবে।
মিডিয়ার দিক থেকে ভয়ংকর রকমের বাঁধার সম্মুখীন হবে।দেশের মিডিয়া এখনো বাম এবং আওয়ামী ঘরনার রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি পায়নি। ইন্ডিয়ার প্রতি সীমাহীন আনুগত্য কোন কোন মিডিয়াকে দে শ দ্রো হী বানিয়েছে।প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সমকাল,জনকণ্ঠ, কালের কণ্ঠ, ৭১ tv,সময়tv সহ আরও কিছু মিডিয়া সাময়িক রুপবদল করলেও অল্প সময়ের মধ্যে স্বরুপে ফিরে আসবে।জামায়াতকে মিডিয়া ট্রায়ালের মধ্যে ফেলবে নিশ্চিত ভাবে।
আশাকরি আল্লাহর সহযোগিতায় জামায়াত সকল ষ ড় য ন্ত্রে র কবর রচনা করে সফলতার শীর্ষে আরোহন করবে।