বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তবে তাঁর নামে কোনো মামলা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যমে শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ ‘মেডিকেল ভিসা’ নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যদিও বর্তমানে ভারত সরকার বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান কার্যত বন্ধ রেখেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ হোসেন চৌধুরী জানান, পাসপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর দায়ের হওয়া একাধিক মামলা শনাক্ত হয়। পরে তাঁকে পোর্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পোর্ট থানার উপপরিদর্শক পবিত্র বিশ্বাস জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে। তাঁকে সীমান্ত পারাপারে কোনো চক্র সহযোগিতা করেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একটি চক্র তাঁর ভারতে যাওয়ার ব্যবস্থা করছিল। তবে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে শেষ মুহূর্তে বিষয়টি ধরা পড়ে। বন্দর, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চক্রটির সংশ্লিষ্টতা শনাক্ত করা যেতে পারে।
এর আগে ৫ জুন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রেজাউল কবিরকে একইভাবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে অন্তত ১৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে বেনাপোলে ধরা পড়েছেন।