খুলনায় পুত্রবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে শশুর আজিজুল শেখ (৫২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন হাজী গ্রাম ৩ নং ওয়ার্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিজুল শেখ ওই এলাকার বাসিন্দা শের আলীর ছেলে।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, গেল বছরের ২ নভেম্বর হাজী গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল শেখের ছেলে রাজীব শেখের ছেলের সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ঐ মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পুত্রবধুর ওপর কুদৃষ্টি পড়ে আজিজুল শেখের। প্রায়ই ওই পুত্রবধুকে সে কু প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু পুত্রবধু তাতে সাড়া না দিলে তাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করতে থাকে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, ছেলে রাজীব দিন মজুর। ছেলেকে প্রায়ই বাড়ি থেকে অনেক দূরে কাজে পাঠিয়ে দিত সে। গত তিনমাস আগে খাবারের সাথে পুত্রবধুকে ঘুমের ওষুধ সেবন করিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি পরে পুত্রবধু আচ করে সংসারের কারণে সে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। এরপর থেকে প্রায়ই ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুত্রবধুকে ধর্ষণ করত আজিজুল শেখ। দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার হয়ে পুত্রবধু বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিষয়টি স্বামীকে জানালেও সে কোন প্রতিকার পায়নি। এ ঘটনায় রাজীব তার বউকে তিরস্কার করতে থাকে।
দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজিজুল শেখের চারিত্রিক ত্রুটি রয়েছে। এর আগে এরকমের ঘটনা সে ঘটিয়েছে।
পুত্রবধুক ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, ছেলে রাজীব দিন মজুর। সকালে বের হয়ে গভীর রাতে বাড়িতে ফেরে। এ সময়ে রাজীবের বাবা এবং পুত্রবধু বাড়িতে একা থাকে। গত তিন মাস আগে আজিজুল শেখ খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে তাকে বাড়িতে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। শুক্রবার দুপুরে রাজীব জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে শশুর তাকে কু প্রস্তাব দেয়। তাতে পুত্রবধু সাড়া না দিলে তাকে ব্যাপক মারধর করে আজিজুল শেখ। বাড়িতে ফিরে এলে ঘটনাটি স্বামীকে জানালেও সে বিশ্বাস করেনা। বিষয়টি নানী এবং মামাকে জানালে পুত্রবধুকে বাড়ি নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হলে আজিজুল শেখকে বিকেলে হাজী গ্রাম ৩ নং ওয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।