মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। শিশুটির বোনের শ্বশুর একাই এই জঘন্য অপরাধ করেছে বলে স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টাও করেছে সে। আদালত ও পুলিশের সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
১৫ মার্চ বিকেলে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মামলার প্রধান আসামি। সেখানে সে জানায়, ৬ মার্চ সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে তার গলা চেপে ধরা হয়। জ্ঞান হারানোর পর ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। এরপর ব্লেড দিয়ে শিশুটিকে ক্ষতবিক্ষত করে।
আসামির জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনার সময় শিশুটির বোন রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগ কাজে লাগায় শ্বশুর। শিশুটিকে অচেতন ফেলে রেখে সে মাঠে কাজে চলে যায়। পরে শিশুটির বোন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে শিশুটির মায়ের এজাহারের কিছু অমিল রয়েছে। তবে, এজাহারে শিশুটির মায়ের অভিযোগ ছিল, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের শ্বশুর তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
১ মার্চ শিশুটি বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
এই ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য তিন আসামির রিমান্ড চলছে। পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।