জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মোহাম্মদ তাজিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ বলে জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে। তারা বলে, আমরা নাকি স্বাধীনতাবিরোধী। আমরা যদি স্বাধীনতাবিরোধী হই তাহলে আমাদের দলে এত মুক্তিযোদ্ধা আসছে কোথা থেকে? স্বাধীনতার পক্ষ এবং বিপক্ষ শক্তি বলে আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছিল। এখনো বিভক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ফেনী জেলার শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ তাজিরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র-জনতারাই এ দেশকে স্বাধীন করেছিল। যুবকরাই এদেশকে স্বাধীন করেছিল। আমাদের মতো বয়স্ক যারা ছিল তারা সহযোগিতা করেছে। ২৪-এর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানেও আমরা সেটা দেখেছি। ৭১ -এ পাকিস্তানিরাও বৈষম্য করেছিল বলেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। তারা অর্থনৈতিক ও চাকরিসহ সকল কিছুতে বৈষম্য তৈরি করেছিল।’
পরিষদের জেলা সভাপতি এ এস এম নুর নবী দুলালের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মিয়া, ফেনী জেলার প্রধান উপদেষ্টা মুফতি আব্দুল হান্নান ও উপদেষ্টা এ কে এম শামসুদ্দিন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড জেলা সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী। স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক, মো: আলী ইসমাইল ও মো: রফিকুল ইসলাম।
শেষে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ফেনী জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মুফতি আবদুল হান্নান। আগামী দুই বছরের জন্য নবগঠিত কমিটিতে এ এস এম নুর নবী দুলালকে সভাপতি ও বেলায়েত হোসেনকে সেক্রেটারি করা হয়। চার সদস্যের এ কমিটির অন্যরা হলেন সহ-সভাপতি আবু ইউছুফ ও কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন।