রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানাযায়, আকতার শিকদার ২৭ জানুয়ারি খুলনা তেরখাদা থানার মামলা নাম্বার-২ তারিখঃ -০৪/১১/২৪ জি-আর ১১৬/২৪ ধারা -১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/ ৩০৭/৩৭৯/৪২৭/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪/৫ গ্রেফতার হন। তার হাজতী নং-৬৭০/২৫। আক্তার শিকদার তেরখাদা মোকামপুর এলাকার কেরামত শিকদারের ছেলে।
খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান জানান, হাজতি আসামি আকতার শিকদার রোববার দুপুর ২টার দিকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় কারারক্ষীরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর আড়াইটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মারামারি ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি আকতার শিকদার কারাগারে আসে। ২৯ জানুয়ারি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগের কথা উল্লেখ করে তিনি কারা হাসপাতালের ডাক্তার দেখান।
স্থানীয় লোকজন জানান, আকতার শিকদার তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর গ্রামের কেরামত শিকদারের ছেলে। তার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
আকতার শিকদারের চাচাতো ভাই মিলন শিকদার জানান, তার ভাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তেরখাদা থানা পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর মারামারি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আসামি ছিলেন আকতার শিকদার। তাকে ২৭ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।