বিসিএসআইআর-এ ১৩৪ কোটি টাকার প্রকল্পে ‘নয়ছয়’

বিডি এডিশন ডেস্ক , প্রকাশ:18 ফেব্রুয়ারি 2025, 12:27 রাত
news-banner
রাজধানীর সাইন্সল্যাবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এ আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, গবেষণায় অনিয়ম, পুরস্কার জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর এনফোর্সমেন্ট টিম। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) প্রতিষ্ঠানটি বিসিএসআইআর থেকে ২০২০ সালে পৃথক হয় ।

অভিযানেকাল জানা গেছে, প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা ‘ক্যামিকেল মেট্রোলোজি অবকাঠামো সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্প পরিচালক ছিলেন ড. মালা খান। তিনি নিজস্ব ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন, স্পেসিফিকেশন ও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্রয় সম্পাদন না করে অর্থ উত্তোলন করেছেন। অভিযানেকাল জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন মেশিনারিজ ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পূর্বেই ঐ সকল মেশিনারিজ ক্রয় করে ইনস্টলেশন করা হয়। পর্ববর্তীতে ক্রয়কৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দেখিয়ে টেন্ডার বাস্তবায়ন করে ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কেমিক্যাল ক্রয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮০ হাজার টাকা, পরবর্তীতে ০৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার টেন্ডার দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযানকালে দুদক টিম ১১টি যন্ত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে, যেগুলো নথিপত্র অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানের নয়, কোন রকম টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রয় করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বর্তমানে তাদেরকে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে জানা গেছে, এগুলো আগামী অর্থ বছরে টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত দেখানো হবে। এ ছাড়াও কোভিড টেস্টের জন্য ক্রয়কৃত ভিটিএম কিট ক্রয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে কর্মরত ড. মালা খান তিনি আমার দেশকে বলেন, ‘আমি প্রকল্পে কোন দুর্নীতি করিনি। আমার কাছে যথেষ্ঠ প্রমাণ আছে। আমাকে মহাপরিচালকের এক প্রজ্ঞাপনের সই করা নির্দেশে ২ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমার বিুরদ্ধে যে সকল মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আমি তার ন্যায় বিচার চাই।’ এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শোয়েব খান আমার দেশকে বলেন, ‘আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি বেশকিছু অনিয়ম ও দুর্নীতি পেয়েছি। সকল নথিপত্র কমিশনে দাখিল করবো।’

মুল্যবান মন্তব্য করুন