ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্রে সাত দিন ধরে আটকে রেখে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ২৩ জনের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
এদিকে, এ গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ৫০তম বার নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখানে পা রাখা মাত্রই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সাম্প্রতিক গণধর্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। তিনি বারাণসী বিমানবন্দরে নামার সাথে সাথেই পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং বারাণসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে শহরে সাম্প্রতিক অপরাধমূলক ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত শোনেন। এই গণধর্ষণকাণ্ডে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা বারাণসীতে আর না ঘটে, সে বিষয়েও পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেন তিনি।
নির্যাতিতার মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৯ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল ওই তরুণী। নির্যাতিতা তার বন্ধুর সাথে একটি জায়গায় যান। সেখানে আর বেশ কয়েকজন যুবক উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, সেসময় তার ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে মাদক মিশিয়ে তাকে অচেতন করে ফেলে ওই যুবকদের মধ্যে একজন। এরপর সাত দিন ধরে সিগ্রা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অন্তত ২৩ জন।
এরপর ৪ এপ্রিল খোঁজ মেলে ওই তরুণীর। ৬ এপ্রিল লালপুর থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়।
তদন্তে নেমে ইতোমধ্যেই নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অভিযুক্ত ২৩ জনের মধ্যে অনেকেই নির্যাতিতার পূর্বপরিচিত ছিল বলেও জানা গেছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস