ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুইদিনের সফরে জেদ্দায় পৌঁছে সৌদি আরবকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু ও কৌশলগত মিত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি ২০১৯ সালে কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাউন্সিল তৈরির পর থেকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য প্রসারণের ওপর জোর দিয়েছেন এবং দেশ দু’টির ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ‘অসীম সম্ভাবনার’ প্রশংসা করেছেন।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্বের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। অনিশ্চয়তায় ভরা এই বিশ্বে আমাদের বন্ধন স্থিতিশীলতার স্তম্ভ হিসেবে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।’
তিনি সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তাকে ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একজন শক্তিশালী সমর্থক’ এবং ভিশন ২০৩০-এর অধীনে সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জনকারী একজন দূরদর্শী বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি যখনই তার সাথে দেখা করেছি তিনি আমার ওপর গভীর ছাপ ফেলেছেন। তার অন্তর্দৃষ্টি, তার দূরদর্শিতা ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রতি তার আবেগ সত্যিই অসাধারণ।’
যৌথ অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জ্বালানি, কৃষি ও সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সৌদি ও ভারতীয় ব্যবসার গভীর একীকরণকে স্বাগত জানান, বিশেষ করে সবুজ হাইড্রোজেন ও প্রযুক্তির মতো উদীয়মান খাতগুলোতে।
মোদি বলেন, ‘সৌদি আরবের বিভিন্ন খাতে ভারতীয় কোম্পানিগুলোও তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রেখেছে।’
এ সময় তিনি ২০৩০ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপো ও ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সৌদি আরবকে অভিনন্দন জানান এবং এই দ্বৈত সাফল্যকে ‘অসাধারণ গর্বের’ বিষয় বলে বর্ণনা করেন। তিনি ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও যুগান্তকারী যৌথ সামরিক মহড়াকে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত আস্থার লক্ষণ হিসেবেও উল্লেখ করেন।
মোদি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় চালু হওয়া ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর (আইএমইইসি) সম্পর্কে বলেন, ‘এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পুরো অঞ্চলে বাণিজ্য, সংযোগ ও প্রবৃদ্ধি হবে।’
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সফরটি সৌদি আরবের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি ভারত কতটা গুরুত্ব দেয় তা প্রতিফলন করছে।