ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া এবং গাজায় একই দিনে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সোমবার রাতে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়। এতে গাজায় কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইল বলছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের অবকাঠামো।এদিন ইয়েমেনের হোদেইদা প্রদেশে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। হুতি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের দাবি, হোদেইদা বন্দরের আশপাশে অন্তত ছয়টি বিমান হামলা ও রাজধানী সানার নিকটে তিনটি হামলা হয়েছে।
লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকা সংলগ্ন জান্তা শহরের উপকণ্ঠেও ছয়টি বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। একই অঞ্চলের শারা পাহাড়েও হামলা চালানো হয়। দক্ষিণ লেবাননের স্রিফা গ্রাম ও টাইর হারফায় চারটি তৈরি কক্ষ লক্ষ্য করে চালানো হয় ড্রোন হামলা।
সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ার সরঘায়া শহরেও বিমান হামলা চালানো হয়। যা লেবাননের পার্বত্য এলাকার ঠিক বিপরীত পাশে অবস্থিত। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এই সব হামলার টার্গেট ছিল হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, সোমবার ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলাটি গাজার বাড়িঘর, যানবাহন এবং সমাবেশকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
ইসরায়েলি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০টি যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয় এবং মূলত হোদেইদা বন্দরের সামরিক অবকাঠামো টার্গেট ছিল, যেখান থেকে হুতিরা রেড সি অঞ্চল ও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে থাকে।
সোমবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, সেনারা এখন পর্যন্ত গাজার যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেখান থেকে তারা আর সরবে না। এর বদলে সেনারা স্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে। এছাড়া গাজায় হামলা আরও তীব্র করার হুমকি দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু।
নৌ-ঘাঁটিতে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামির বলেছেন, ‘আমরা আমাদের জনগণকে বাড়ি ফেরাতে এবং হামাসকে পরাজিত করতে চাপ বাড়াচ্ছি। আমরা নতুন এলাকায় অভিযান চালাব এবং সব সন্ত্রাসী অবকাঠামো মাটির ওপরে হোক বা নিচে ধ্বংস করব।’