দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর ভয়াবহ হামলা

আরিফুল ইসলাম , প্রকাশ:09 মে 2025, 03:29 দুপুর
news-banner
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথ আবারও রক্তাক্ত হল নতুন সহিংসতায়। দক্ষিণ লেবাননে বৃহস্পতিবার ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক বিমান হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। যুদ্ধবিরতির পর এমন বড় আকারের হামলা কেবল সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্নই করছে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর একটি অবকাঠামো স্থাপনায় কয়েক ডজন বিমান হামলা চালায়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালিয়েছে।

 

তবে হিজবুল্লাহ সরাসরি এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও পূর্বেই জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনেই তারা দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের সব বাহিনী প্রত্যাহার করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইসরাইলের এই সামরিক অভিযান যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিরুদ্ধে স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, হামলায় অন্তত একজন নিহত ও আরও আটজন আহত হয়েছেন। সীমান্ত থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের নাবাতিহ অঞ্চলে পাহাড়ের চূড়ায় আঘাত হানায় বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখযোগ্য যে, গত বছর হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

 

এমনকি বৈরুতের হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ শহরতলিতেও কয়েকবার হামলা চালানো হয়েছে।যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, লিটানি নদীর দক্ষিণে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্র রাখা নিষিদ্ধ, ইসরাইলকে দক্ষিণ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং সেখানে লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। অথচ এখনো দক্ষিণের পাঁচটি পাহাড়ে ইসরাইলি সেনার উপস্থিতি রয়েছে।

 

হিজবুল্লাহর উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, ‘হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির সব শর্ত পালন করেছে, দক্ষিণে আমাদের কোনও অস্ত্রধারী সদস্য নেই।’ তা সত্ত্বেও হামলা চালানো ইসরাইলের একতরফা আগ্রাসনের ইঙ্গিত দেয়। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

মুল্যবান মন্তব্য করুন