বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে সমালোচনা করে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন। এ ঘটনার পর এবার পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, টেসলার সিইওর ওপর তিনি ‘ভীষণ হতাশ’। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর মাস্ক বলেছেন ট্রাম্প ‘অকৃতজ্ঞ’।
ওভাল অফিসে জার্মান নেতার সঙ্গে মিটিংয়ের সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। জবাবে এক্সে ধারাবাহিকভাবে ব্যতিক্রমী কায়দায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে পোস্ট দিতে থাকেন। তাতে তিনি প্রমাণ না দিয়েই বলছেন, যৌন অপরাধী জেফ্রে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল। অপ্রকাশিত ফাইলগুলো সেকথাই বলে।
ওদিকে সরকারের হাতে থাকা এবং অপ্রকাশিত ফাইলগুলোতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক থাকার এই তথ্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, ইলনের কাছ থেকে এসব কথা দুর্ভাগ্যজনক। ইলন মাস্ক ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে অসন্তুষ্ট। কারণ, তিনি যে পলিসি চান তা এতে নেই। প্রেসিডেন্ট এই ঐতিহাসিক বিলের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন এবং তিনি আমাদের দেশকে আবারও মহৎ বানাতে চান।
ওদিকে বেশ কয়েকবার ইলন মাস্ক উন্মাদ হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তার প্রশাসন থেকে সরে যেতে বলেন। পাশাপাশি ইলন মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে সরকারি সব কন্ট্রাক্ট বাতিল করার হুমকি দেন ট্রাম্প। তাদের দু’জনের এই লড়াইয়ে ইলন মাস্কের কোম্পানি তেসলার শেয়ারের দাম শতকরা ১৪ ভাগ কমে গেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের মিত্র স্টিভ বেনন বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাত ১২টা বাজার আগেই এদিন স্পেসএক্স’কে ‘সিজ’ করা উচিত ট্রাম্পের। কারণ, স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেছেন ইলন মাস্ক। কিন্তু এ প্রজেক্টে মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে শত শত কোটি ডলার পেয়ে থাকে স্পেসএক্স।
নিজের পডকাস্ট ওয়ার রুমে স্টিভ বেনন বলেন, বাস্তব দুনিয়া সম্পর্কে কিছুই জানেন না ইলন মাস্ক। ফলে যদি ইলন মাস্ক সরকারের সঙ্গে চুক্তি এবং ভর্তুকিতে যে অর্থ পান তা বাতিল করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প, তাহলে তা ইলন মাস্কের জন্য বিরাট ঝুঁকির কারণ হবে।