যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রধান শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে মাস্ক পরিহিতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় তিনি এই নির্দেশ দেন। সেখানে ট্রাম্প বলেন, মাস্কে মুখ ঢেকে রাখা লোকজনদের গ্রেফতার করুন এখনই।
এর আগেও এক পোস্টে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, এখন থেকে বিক্ষোভের সময় আর মাস্ক পরা যাবে না। কেউ মাস্ক পরে বিক্ষোভ-আন্দোলন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) যৌথভাবে লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের লক্ষ্য ছিল নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা। এই সময় শহরের উপশহর প্যারামাউন্টে পুলিশের সাথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্ঘর্ষ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, প্যারামাউন্ট মূলত মেক্সিকো ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের বাসস্থান, যাদের অধিকাংশের বৈধ কাগজপত্র নেই এবং যারা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেন।
সঙ্ঘাত শুরু হওয়ার পর তা সময়ের সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ে শহরের অন্যান্য এলাকাতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের আধাসামরিক সংস্থা ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্য।
তবে সেনা মোতায়েনের পরও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। সরকারি ভবন ও দফতরগুলোতে বিক্ষোভকারীদের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে ভবনগুলোর চারপাশে অবস্থান নিয়েছে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা। যদিও এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো ভবনে হামলা হয়নি। তবে শনিবার থেকে কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করছে। তাদের লক্ষ্য করে হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে ইতোমধ্যে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি