যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যা দুই দেশের প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লন্ডনে দেশ দুটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুই দিনের বৈঠকের পর নিজের মালিকাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু চীনের প্রেসিডেন্ট শি ও আমার অনুমোদন প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘চীন থেকে প্রয়োজনীয় দুর্লভ ধাতব পদার্থ ও চুম্বক যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে, চীনা শিক্ষার্থীরাও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পাবেন।’
আধুনিক প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ ধাতু রনির বিষয়টি লন্ডনে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের পণ্যে শুল্কারোপ করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চীন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বেইজিংও মার্কিন পণ্যে উচ্চ শুল্কারোপ করে। পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের হার এপ্রিলে এসে সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশে পৌঁছায়।
মে মাসে সুইজারল্যান্ডে হওয়া আলোচনায় সাময়িক সমঝোতায় পৌঁছায় দুই দেশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হার ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনে এবং চীনও তা ১০ শতাংশে কমিয়ে আনে। পাশাপাশি চীন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রফতানিতে বাধা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে উভয় পক্ষই পরে একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ আনে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীন দুর্লভ ধাতু রফতানিতে বিধিনিষেধ তুলে নেয়নি। অপরদিকে, বেইজিং দাবি করে- যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করেছে, চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের তৈরি চিপ ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে এবং চিপ ডিজাইন সফটওয়্যারের রফতানি বন্ধ করেছে।
এই সপ্তাহের আলোচনার আগে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা কিছু দুষ্প্রাপ্য খনিজ উপাদান রফতানির লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে।
ট্রাম্প শুক্রবার (৬ জুন) জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট শি বাণিজ্য পুনরায় শুরুর বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।