ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার রাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরাইল। এ সময় তেহরানে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০ শিশুও রয়েছে।
শনিবার লাইভ প্রতিবেদনে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে মিডল ইস্ট আই এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইসরায়েলি হামলার প্রথম ধাপে ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, শুক্রবার ভোররাতে ইসরাইলি বাহিনী ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। যার লক্ষ্য ছিল দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা।
এতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ১০৪ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৮০ জন।
ইরানী গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হামলার জবাবে ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ১৭০ জনের বেশি আহত হয়।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইরানে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।
অন্যদিকে ইরানও বলেছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের হামলা অব্যাহত থাকবে। ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ফার্স।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচির বলেন, ‘গত রাতের সীমিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এ সংঘর্ষ শেষ হবে না। ইসরাইলে হামলা অব্যাহত থাকবে। আর এ পদক্ষেপ হামলাকারীদের (ইসরাইল) জন্য খুবই বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক হবে।