যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দেশটিতে বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনবেন এবং সরকারি সেন্সরশিপের অবসান ঘটাবেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে একই দিন কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের জেলে পাঠানো বা দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভকে তিনি ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেন।
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্পের নেওয়া একের পর এক সিদ্ধান্ত দেশ ও বিশ্বের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার কয়েক সপ্তাহ পরই কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন ট্রাম্পের ভাষণের আগে ক্যাপিটল এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। তাঁদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাঁর নতুন প্রশাসনিক বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) প্রধান ইলন মাস্ক এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। অনেকে ইউক্রেনের পতাকা বহন করতেও দেখা গেছে।