মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে ২৫ বছর বয়সী রমেজ আলামমারিন নামে এক ব্যক্তি গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন।
ইসরাইল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তারা গাজায় আবারো জাহান্নামের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে। লাশ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মাটিতে পড়ে আছে। আহতরা তাদের চিকিৎসার জন্য কোনো ডাক্তার খুঁজে পাচ্ছে না।’
তিনি এএফপিকে বলেন, ‘তারা ওই এলাকার একটি ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো হতাহতরা রয়েছে...চারদিকে ভয় ও আতঙ্ক। জীবনের চেয়ে মৃত্যু ভালো।’
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৭ মাসব্যাপী চলা এ যুদ্ধের মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।
এ ঘটনায় স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে। আমরা কেন উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলা এবং পণবন্দীদের মুক্তি দেয়ার বিষয়টির প্রতি সম্মান দেখাচ্ছি না।’
তিনি আরো বলেছেন, আমরা প্রতিনিধিত্ব করতে সব সময় রাজি। অস্ট্রেলিয়া এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সব সময় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামাস তাদের ‘জিম্মি’দের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর এই হামলার নির্দেশ দেয়া হয়।
একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, অভিযান ‘যতদিন প্রয়োজন ততদিন অব্যাহত থাকবে এবং বিমান হামলার বাইরেও বিস্তৃত হবে।’
এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘নেতানিয়াহু ও তার চরমপন্থী সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে গাজার বন্দীরা এক অজানা পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে।’
কাতার, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়, যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক পর্যায় ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার ফলে গাজায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ মূলত বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র : বিবিসি ও এএফপি