বছর ঘুরে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে খোদার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা। এই দিন আমাদের দেশের মুসল্লিরা গরু বা খাসি কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাই ঈদুল আজহার দিন গরুর মাংস পাতে পড়বে না এমন হতেই পারে না।এ সময় বেশ কয়েকদিন টানা গরুর মাংস খাওয়া হয়। উৎসবের সময় মাংস খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই, কিন্তু স্বাস্থ্যের কথাও সে সময় মাথায় রাখতে হবে। এবার ঈদের সময়টা আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে বেশ গরম অনুভূর হতে পারে, তাই ঈদের দিন গরুর মাংস খাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১. মাংস রান্নায় দৃশ্যমান জমানো চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করতে হবে এবং কম তেলে রান্না করতে হবে।
২. গরুর মাংসে উচ্চমানের প্রোটিন আছে। তাই দিনে ৭০ গ্রামের বেশি প্রোটিন বা সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা শুধু মাংস দিয়েই পূরণ করা যাবে না।
৩. যে দিন গরুর মাংস বেশি খাওয়া হবে, সেদিন অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. গরুর মাংসে অ্যানাফিল্যাক্সিস নামে যৌগ আছে যেটি অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৫. গরুর মাংস খাওয়ার পরপরই দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের গণ্ডগোল অথবা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬. যাদের থ্যালাসেমিয়া বা হেমাক্রোমাটোসিস নামে রক্তরোগ আছে, তাদের গরুর মাংস খাওয়া উচিত নয় কারণ, গরুর মাংসে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন আছে।
৭. অতিরিক্ত রেড মিট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা যায় । কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে গরুর মাংস ভালো করে সেদ্ধ করে খেতে হবে। কারণ, লাল মাংসে টিনিয়া সোলিয়াম নামে একধরনের বিশেষ কৃমিজাতীয় পরজীবি থাকে। ভালোভাবে সেদ্ধ না হলে কৃমিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
৯. যারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তারা অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ব্যতীত না খাওয়াই উত্তম ।
১০. মাংস খাওয়ার সময় সঙ্গে সালাদ রাখুন। এছাড়া ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, মাশরুম বা পছন্দের সবজি দিয়ে মাংস রান্না করা যেতে পারে। এতে কম পরিমাণ মাংস খাওয়া হবে।