চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শিল্পিরা, রাতের মধ্যে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ প্রস্তুত সম্ভব?

আরিফুল ইসলাম , প্রকাশ:14 এপ্রিল 2025, 03:14 রাত
news-banner

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ আগুনে পড়িয়ে দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা। এই ‘মুখাকৃতি’ বানানোর কাজে থাকা চারুকলার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটা তাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। রাতের মধ্যেই তারা কাজটি শেষ করবেন।

বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার (১৪ এপ্রিল) উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২। এদিন সকাল ৯টায় নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা  শুরু হবে।

এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতেই থার্মোকল বা শোলা দিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানানোর কাজ শুরু হয়। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। রাতের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হতে পারে। নতুন করে তৈরি করা এই ‘মোটিফের’ উচ্চতা হতে যাচ্ছে ১৬ ফুট।

এই ‘মুখাকৃতি’ বানানোর কাজে থাকা একজন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি পুড়িয়ে দেওয়ার পর একেবারে অল্প সময়ে এটি আবার তৈরি করা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এটা যথা সময়ে করবই।

আজ সন্ধ্যায় চারুকলা ঘুরে দেখা যায়, শোভাযাত্রার জন্য তরমুজের ফালি, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা ও পালকির মোটিফ প্রস্তুত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুন্দর কাজ হচ্ছে। আশা করা যায়, আমরা মোটিফ তৈরির কাজ শেষ করতে পারব।’

এর আগে শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি পোড়া অবস্থায় দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ধারণা, ভোরে সেগুলো আগুনে পুড়ে যায়। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছিলেন, ‘আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাধা এসেছে। এ ধরনের কাজে কিছু বাধা আসেই, ষড়যন্ত্র থাকবেই।’

মুল্যবান মন্তব্য করুন