লালমনিরহাট সীমান্তে বাংলাদেশীকে হত্যার দু’দিনের মাথায় ফের দেশের ভেতরে এসে আরেক যুবককে ধরে করে নিয়ে গেছে ভারতীয়রা। পরে তাকে কাঁটাতারের বেড়ায় বেঁধে নির্যাতন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় ৮০১ নম্বর মেইন পিলারের ১০/১১ সাব পিলারের মাঝামাঝিতে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার আজিনুর রহমান জমগ্রাম ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর হোসেনের ছেলে। এ যুবক বর্তমানে ভারতের বিএসএফ সদস্যদের কাছে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সীমান্ত ঘেঁষা বাংলাদেশী জমিতে (ভুট্টাক্ষেতে) কাজ করতে যায় আজিনুর ও তার মা। এ সময় ভারতীয় ১০৮ ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার ১০-১২ জন লোক বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
পরে তাকে কাঁটাতারের বেড়ায় বেঁধে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে স্বরস্বতি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজিনুর রহমান নামে ওই যুবক সীমান্তের পাশে ঘোরাঘুরি করায় ভারতীয় লোকজন তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। ওই যুবককে ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।‘
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৬ এপ্রিল) লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর মেইন পিলারের সাব ৬ এস পিলারের কাছে সীমান্তের ভেতরে ঢুকে ধান ক্ষেতে কাজের সময় হাসিবুল আলম নামে এক কৃষককের চোখে গুলি করে তাকে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে তার স্বজনদের কাছে মৃত্যুর খবর আসে।