সংস্কারকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সংস্কার একবারে হয় না। সংসদে আলোচনার মধ্যদিয়ে সংস্কার হয়। বর্তমান সরকারের দায়িত্ব নেয়ার ৮ মাস হয়ে গেছে। যদি ডিসেম্বরের সরকার সংসদ নির্বাচন দেয়, তাহলে ৮ মাসের মতো বাকি আছে। তাহলে সংস্কার করতে আর কতো সময় লাগতে পারে? কেউ কেউ বলছেন সংস্কার সম্পাদন না করে নির্বাচন করলে যেই দল ক্ষমতায় আসবে তারা সংস্কার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। অথচ সংস্কার হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বর্তমান যেটাই সংস্কার করুক সেটা পরবর্তী সংসদে পাস করতে হবে।শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ নাটোর জেলা শাখার আয়োজনে স্বাধীনতা সার্ভভৌমত্ব বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
সংস্কারের কথা বলে কার লাভ হচ্ছে প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, সংস্কারের নামে ধোয়াশা করে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহকারী সব দল ও ছাত্র জনতার মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হলে ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন শেখ হাসিনা জাদুঘরে পাঠিয়েছিল। বর্তমান সকরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সরকারের ওপর জনগণের আস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে।
জিয়া পরিষদ নাটার জেলা শাখার আয়োজনে এ সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এছাড়া জিয়া পরিষদের স্থানীয় কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, দানবরূপী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে নিয়ে অপ্রচারের পাশাপাশি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেখ হানিাকে প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে তারা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল।
বাংলাদেশকে আবার কব্জার মধ্যে নেয়ার জন্য ভারত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনকে পেছনে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে আপনারা মনে রাখবেন বাংলাদেশের মানুষ ওতো বোকা নয়। আমরা এখনো বলছি বর্তমান সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান দ্রুত সময়ের ভেতর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিন। দেশের মানুষকে মুক্তি দেন।
দুলু বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। দলের অভ্যন্তরেও অনেকে ত্যাগী নেতাদের সম্পর্কে কেন্দ্রে মিথ্যা ভুল তথ্য দিয়ে ডুবানোর চেষ্টা করছেন। এ সকল ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে নাটোর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
এ সময় সময় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাব, নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপন, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।