নতুন কর্মসূচি নিয়ে ফের মাঠে নামছে বিএনপি

, প্রকাশ:27 জুলাই 2025, 02:01 রাত
news-banner

তিন মাসব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে বিএনপি। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন, দ্রুত তফসিল ঘোষণা, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ঠেকানোসহ বিভিন্ন দাবিতে দলটি আবারও রাজপথে সক্রিয় হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


এ লক্ষ্যে রোডমার্চ, বিভাগীয় সমাবেশ, আসনভিত্তিক পদযাত্রা এবং ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচির প্রস্তাব এসেছে। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় এসব প্রস্তাব দেন বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক নেতারা। ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


সভায় নেতারা বলেন, একটি আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও যেন দলে কোনো গ্রুপিং বা দ্বন্দ্ব না তৈরি হয়। দলীয় কর্মসূচি সফল করতে সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। নেতাদের ভাষ্য, সংগঠনের ভেতরে যদি কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন বা কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সভার একাধিক নেতা জানান, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। কিছু গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত। এ বিষয়ে সরকারও কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এই পরিস্থিতি রুখতে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, ‘বিএনপি সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের বিষয়ে দল ও কর্মীরা সজাগ রয়েছে।’


নেতাদের মতে, এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হবে—জনগণকে নির্বাচনের প্রতি উৎসাহী ও সচেতন করে তোলা। নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো এবং দলীয় ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা জনগণের মাঝে ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হবে। এছাড়া নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়নের কর্মসূচিকেও মাঠপর্যায়ে বিস্তৃত করার প্রস্তাব এসেছে।


এদিকে, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। তারেক রহমানের নির্দেশে ইতোমধ্যে সিনিয়র নেতারা নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শুরু করেছেন। তারা সহমর্মিতা জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


সভার প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক নেতারা আরেক দফা বৈঠক করবেন। এরপর এসব প্রস্তাব দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করে তা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি আবারো রাজপথে সক্রিয় হবে—শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলিত এবং লক্ষ্যনির্ভরভাবে।

মুল্যবান মন্তব্য করুন