ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে: ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম

বিডি এডিশন ডেস্ক , প্রকাশ:21 জানুয়ারী 2025, 03:07 দুপুর
news-banner
ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে: ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম

ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা আবার সক্রিয় হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রোববার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি মিত্রদের জড়ো করার পাশাপাশি শত্রুদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

পুরোনো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত সক্রিয় হয়ে গেছে উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘সরকারের দায় দিন, অসুবিধা নেই। আমরা চেষ্টা করছি। কেন পারিনি বা আপনাদের প্রত্যাশামতো পারছি না, সেসব ব্যাখ্যা আমরা দেব। কিন্তু কালচারাল ফ্যাসিজম এবং পুরোনো অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে আপনাদের–আমাদের নিরন্তর লড়াই প্রয়োজন। সামাজিক ফ্যাসিবাদ বনাম সেক্যুলারিস্ট শক্তির ছদ্ম খেলা নস্যাৎ করে দেওয়া দরকার। নইলে এ দুই শক্তি এ প্রজন্মকে হত্যাযোগ্য করে তুলবে।’


মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘ফিফথ আগস্ট ডিভিশনকে প্রশ্ন করুন। (যাঁরা ৫ তারিখে এসে আন্দোলনে অংশ নিলেন, কিন্তু জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেননি!) জুলাই একটা মিলনবিন্দু ছিল। ভাবাদর্শিক লড়াই নিয়ে আপনাদের সতর্ক করেছিলাম। পাঁচ মাস পরে তা সত্য হয়ে উঠছে। শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা হচ্ছে। মুজিববাদী পেরাডাইম আর ইতিহাসতত্ত্ব আবার সক্রিয় হচ্ছে। বিপরীতে সৃজনের বদলে প্রতিক্রিয়াই শক্তিশালী হচ্ছে। নতুনভাবে এ রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে গঠনের ঐতিহাসিক সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে পুরোনো বন্দোবস্তের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায়! এগুলো কি একা সরকারের দায় বলে মনে করেন? কিংবা একা মাহফুজ আলমের দায়?’

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫০টির বেশি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অর্থনীতিকে খাদের কিনারে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুলাই শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের অর্থ দান ও পুনর্বাসন থেকে শুরু করে বিচার ও সংস্কারের জন্য আমরা নিরন্তর কাজ করছি। এখনো জনগণের যেকোনো ন্যায্য দাবি সময়সাপেক্ষ হলেও পূরণ হচ্ছে। সরকার শুনছে, কাজ করছে। কিন্তু ভাবাদর্শিক গোঁড়ামি করে এবং বিদেশি প্রেসক্রিপশন নিয়ে যাঁরা এ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সম্ভাবনাকে নস্যাতে দাঁড়িয়ে গেছেন, তাঁদের সবার খতিয়ান আমাদের প্রজন্মের কাছে আছে। কালচারাল শক্তি ও গণমাধ্যমগুলো নিছক ভাবাদর্শিক লাভ–ক্ষতির জায়গা থেকে যেভাবে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে বেইমানি করছেন, তা–ও আমাদের প্রজন্ম মনে রাখবে।’

মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘আমরা যেদিন আবার রাজপথে নেমে আসব সেদিন প্রতিদিনের ডায়েরিতে টুকে রাখা আমাদের দিন–রাতের কাজগুলোর আমলনামা নিয়ে জনগণের সামনে আসব। কিন্তু আপনারা জুলাইবিরোধী শক্তি যাবেন কোথায়? জুলাইয়ের মিত্র সেজে জুলাইয়ের পিঠে ছুরি চালানো হন্তারকেরা পালাবেন কোথায়? আপনাদের আমলনামাও আমরা রাখছি। ভাবাদর্শ আর ভিনদেশের পাতানো খেলায় নেমে যেভাবে আচ্ছন্ন করে রাখলেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে, এটার জবাব দেবে জনগণ!’

মুল্যবান মন্তব্য করুন