ইঞ্জিনিয়ারদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দক্ষ হওয়ার পাশাপশি সৎ মানুষ হতে হবে----অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

ইমরান , প্রকাশ:13 মার্চ 2025, 07:25 বিকাল
news-banner
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের বিকল্প নাই। এ জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দক্ষ হতে হওয়ার পাশাপশি সৎ মানুষ হওয়ার আহবান জানান ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)
এর খুলনা মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নগরীর খালিশপুরস্থ আইডিইবি ভবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে এফডিইবি খুলনা মহানগরী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।  
এফডইবি খুলনা মহানগরী সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফডিইবি খুলনা মহানগরী উপদেষ্টা ও সিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খুলনার অধ্যক্ষ  শেখ জাহাঙ্গীর আলম, এফডিইবি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইডিইবি কেন্দ্রীয় জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক ইঞ্জি. মোস্তফা কামাল, বিজেএমসির (অব.) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জি. মোল্লা আলমগীর, কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জি. আবু হায়াত, খুলনা পাওয়ার গ্রিড এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ইঞ্জি. ঈমান আলী, আইডিইবি খুলনা জেলা আহ্বায়ক ইঞ্জি. সেলিমুল আজাদ, সদস্য সচিব ইঞ্জি. হায়দার আলী, বিইপিএসডিই চেয়ারম্যান ইঞ্জি. লুৎফর রহমান, আইডিইবি ইনচার্জ ইঞ্জি. রুবেল হোসেন, ডিএ্যাব খুলনা মহানগরী সভাপতি ইঞ্জি. মাসুম মাহমুদ ও সেক্রেটারি ইঞ্জি. শাহিন উদ্দিন।
এছাড়া এফডিইবির খুলনা মহানগরী সহ সভাপতি ইঞ্জি. আনিসুল ইসলাম রবিন ও ইঞ্জি. ওয়াহেদুর রহমান, সেক্রেটারি ইঞ্জি. তিতুমীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জি. তাইমিয়া বিন মর্তুজা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি. বোরহান উদ্দিন, অফিস সম্পাদক ইঞ্জি. আনোয়ারুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জি. মোনাজাত হোসেন, আইটি ও গবেষণা সম্পাদক ইঞ্জি. মো. ইব্রাহিম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোবাকখারুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য ইঞ্জি. দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জি. গোলাম কিবরিয়া, ইঞ্জি. হোসেন আলী, ইঞ্জি. আবুল কালাম, ইঞ্জি. বুলবুল হোসেন, ইঞ্জি. মুজাহিদ ইসলাম, ইঞ্জি. আলাউদ্দিন, ইঞ্জি. ইমরান হোসেনসহ বিভিন্ন সার্ভিস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এম আল আমিন আকাশ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলোয়াত করেন ইঞ্জি. হাবিবুল্লাহ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মাগফুজুর রহমান আরও বলেন, পবিত্র রমযান মাস আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের মাস। বেশি বেশি সাদাকার মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর মাস, রমাদান মাস মানবতার জন্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে, এই মাসে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী জনগণের কাছে ন্যায্য মূল্যে পৌঁছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, রমযানের শিক্ষা আমাদের নৈতিকতা এবং ধর্মীয় আমলকে আরও শুদ্ধ করে তোলে। আমাদের দায়িত্ব হলো রমযানের শিক্ষার আলোকে নিজেদেরকে গড়ে তোলা এবং ইসলামের সুমহান বাণী আমাদের এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পৌঁছে দেয়া। তিনি আরও বলেন, যাকাত সমাজে একটি কল্যাণমূলক ব্যবস্থা। ইসলামী শরিয়া মোতাবেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের একটি অংশ মহান রবের খুশির জন্য দরিদ্র্য অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে বিলিবন্টন করলে অস্বচ্ছল ব্যক্তিরা স্বচ্ছল হয়। ধনী ও গরীব শ্রেণির মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ হয়। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে যাকাত আদায়ের প্রতি যতœশীল হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান। 

মুল্যবান মন্তব্য করুন