প্রতি সপ্তাহে খুলনা বিভাগের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে। এসব অভিযোগ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের। সামনে জাতীয় নির্বাচনটি খুবই কঠিন হবে, শুধুমাত্র ইমেজ নষ্ট হওয়ার কারণে। অপরাজনীতি ছেড়ে দলের ইমেজ অক্ষুন্ন রাখার ক্ষেত্রে একাধিক পরামর্শ দিয়ে গেলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান। লুটপাটকারী, দখলদার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লোয়ার যশোর রোডস্থ একটি অভিজাত হোটেলে দলের বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নগর সম্মেলনে অনুরূপ সতর্ক বার্তা দেন তিনি। সভায় বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি ও খুলনা মহানগর শাখার নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ২০১৮ সালে যারা ধানের শীষ নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তারাই বড় প্রতিপক্ষ। আবার নতুন করে প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছে। প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধ করার জন্য দলের ইমেজ ঠিক রেখে জাতীয় নির্বাচনে রোডম্যাপের দিকে এগোতে হবে। ১৫ বছর মানুষ বিএনপিকে ভোট দিতে পারেনি। জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে ৩১ দফার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। কেন্দ্র ও স্থায়ী কমিটির কাছে এ অঞ্চলের দায়িত্বশীলদের অপরাজনীতির নানা প্রমাণাদি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। তাদের নাম খুবই পরিচিত। পতিত সরকারের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কেউ যেন জাতীয়তাবাদী শিবিরের কোন কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত না হতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কয়রা উপজেলার বিলুপ্ত কমিটির একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি ঘের দখল করেছে। সেখানে দলীয় পরিচয় ব্যবহার হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ব্যক্তির অপরাজনীতি ও অপকৌশলের দায় বিএনপি নেবে না। তাকে জনবিচ্ছিন্ন হতেই হবে।
বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নানা বিষয়ে কথা বলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, খুলনা নগর শাখার সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন ও খুলনা জেলা আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু।
সভায় অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সংগঠক বলেন, বৈঠকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিএনপি কর্মীদের মূখ্য ভূমিকা নেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি গুরুত্বারোপ করেছেন। জাতীয় নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য মতভেদ ভুলে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার ওপর আহবান জানান। অপরাজনীতির সাথে জড়িতদের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।