আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন ছাড়া একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব না---অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

ইমরান , প্রকাশ:15 মার্চ 2025, 07:20 বিকাল
news-banner
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, পবিত্র মাহে রমযানের প্রকৃত শিক্ষাই হলো আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলা। তিনি বলেন, আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা নামায আদায় করি। যাকাত দেই। রোযা রাখি। তবে কেন আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলি না। তবে কেন রাষ্ট্র চলবে মানুষের মতবাদ দিয়ে। আল্লাহর নির্দেশ মানলে রাষ্ট্রও তো চলবে কুরআনের আইন দিয়ে। তিনি বলেন, আমরা নামায কায়েম করেছি, যাকাত আদায় করেছি। এখন বাকি শুধু ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই একটি কাজ করতে পারলেই সমাজে, রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ। এ জন্য সকলকে ঐকবদ্ধ হয়ে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন ছাড়া একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব না। শনিবার খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন দেয়ানাস্থ অস্থায়ী কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।  
৪ নং ওয়ার্ড আমীর মো. রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৌলতপুর থানা আমীরমাওলানা মোশাররফ আনসারী। এতে অন্যান্যের মধ্যে থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, শ্রমিক নেতা মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক ৪ নং কাউন্সিলর মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, গাজী ওয়াহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইফতার মাহফিলে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘ দিন ধরে কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। এই ইসলামী আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক আলেমেদ্বীনকে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলতে হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে এদেশের আলেম-উলামাদের উপর অন্যায়ভাবে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে হাজার হাজার জামায়াতে ইসলামী’র নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রেখেছিলো। দীর্ঘ ১৫টি বছর কোনো নেতাকর্মীকে ঘরে ঘুমাতে দেয়নি। তিনি বলেন, আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন ছাড়া সমাজে শান্তি আসতে পারে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি ইসলামী মূল্যবোধের নেতাদের নির্বাচিত করা যায় তাহলে দেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। দেশে ইসলামী আইন চালু হলে অন্য ধর্মের মানুষও নিরাপদ থাকবে। সমাজ থেকে ঘুষ, দূর্নীতি ও শোষন মুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে। সমাজ থেকে খুন, গুম ও ধর্ষণের মতো অপরাধ বিদায় নিবে ইনশ্আাল্লাহ।#

মুল্যবান মন্তব্য করুন