
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে রনির জামিনে স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে বলে আদেশ দেওয়া হয়।
ওই মামলায় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ। রায়ে বখতিয়ার আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে তিনি আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বছরের ৫ নভেম্বর তাঁকে জামিন দেন। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মামুন। রনির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, রনির জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রনির করা আপিল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রনির জামিন স্থগিতই থাকছে, ফলে তাঁকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে একটি গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম ও ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। এ ঘটনায় হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় মামলা করেন। সূত্রবিহীন এ মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ থেকে সংসদ সদস্যের পুত্রের প্রাডো গাড়ি এবং তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গাড়ির সূত্র ধরে একই বছরের ৩০ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বখতিয়ার রনিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কারাগারে।