
গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ১৪ জন ডাকাত, ১২ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, তিনজন চাঁদাবাজ, ১২ জন চোর, ৯ জন মাদক কারবারি, ৩১ জন পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী। অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সাতটি চাপাতি, ছয়টি চাকু, একটি চায়নিজ কুড়াল , একটি রামদা, একটি দা, দুটি ডিক স্টপার, তিনটি মোবাইলফোন, একটি ব্লুটুথ, পাঁচটি বাল্ব, দশটি লোহার নাট, একটি প্লায়ার্স, একটি সেলাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১১৬ পিস ইয়াবা, দুই গ্রাম হেরোইন ও এক কেজি ৫২৫ গ্রাম গাঁজা। গত ২৪ ঘন্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৫৫টি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমপি বলছে, জননিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরীতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। তন্মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে দুই পালায় সিটিটিসির ১৪টি, তিন পালায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এর ১২টি এবং ডিএমপির সাথে রাতে র্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ডিএমপির সাথে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
ডিএমপি বলছে, ঢাকা মহানগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।