
ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে নগরীতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। কেসিসি প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার নগরীর জিয়া হল চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন। র্যালিটি জিয়া হল চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহিদ হাদিস পার্কে এসে শেষ হয়।
র্যালি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেসিসি প্রশাসক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, তাদের এ আত্মত্যাগ আমাদেরকে বৈষম্যহীন একটি দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। আজকের এ আয়োজন বার বার আমাদের সেই সুযোগের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল তাদের সে প্রত্যাশা পূরণে আগামীর বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
খুলনার ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শেখ মো. সাকিব রায়হানের পিতা শেখ মো. আজিজুর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন র্যালি আয়োজক উপকমিটির আহবায়ক কেসিসি’র সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মো. মনিরুজ্জামান রহিম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-খুলনা মহানগরী সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন ও সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হুসাইন, এনসিপি’র মহানগর সংগঠক আহম্মদ হামীম রাহাত, গণসংহতি-খুলনা মহানগরের সমন্বয়ক সোহেল মুনির, ছাত্র প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম ইমন ও মো. নাঈম ইসলাম, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জাামান, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর মো. নাসির উদ্দন ও মাহবুবুর রহমান খোকন, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সরদার আবু তাহের, কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কোহিনুর জাহান. প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশীদসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও কেসিসি পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।