site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

জেলার খবর
খুলনায় নিম্ন আয়ের মানুষের ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা !
প্রকাশিত: ইমরান 10 মার্চ 2025, 05:05 বিকাল
news-banner
খুলনায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ৬ তলা বিশিষ্ট ২২টি ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালে প্রকল্পটি 



২০২৩ সালে প্রায় ১৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে  ৪৪০ ফ্লাট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) । কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতির কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ ১২ জানুয়ারি প্রকল্পটি 'মধ্যম অগ্রাধিকার প্রকল্প ' হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ( ডিপিপি) প্রক্রিয়াকরনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরন করা হয়।২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রকল্পটি এডিপি সবুজ পাতার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এদিকে নিম্নআায়ের মানুষের জন্য ফ্লাট নির্মাণে ধীরগতিতে কেডিএ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন নাগরিক নেতারা। তবে কেডিএ কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় প্রকল্পগুলো বাতিলের থেকে কৌশলগত কারণে বাস্তবায়নে 'ধীরে চলো নীতি' গ্রহণ করা হয়েছে। 

কেডিও সূত্রে জানা যায়, খুলনা মহানগরীর হরিনটানা এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষের বসবাসের জন্য ছয়তলা বিশিষ্ট ২২ টি ভবনে ৪৪০ টি ফ্লাট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। যা সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে ক্রয় করতে পারবে। এছাড়া সরকারি ২য় ও ৩য় শ্রেণির কর্মচারী এইসব ফ্লাট কিনতে পারবেন। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর প্রকল্প যাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার আলোকে পুনর্গঠিত ডিপিপি মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের জন্য ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। পরে প্রকল্পটি 'মধ্যম অগ্রাধিকার প্রকল্প' হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ডিপিপি প্রক্রিয়াকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়। জিওবি ফান্ডে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। 

কর্মকর্তারা বলেন, জিওবি ফান্ড থেকে অর্থ নিয়ে ফ্লাটগুলো নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্মাণের পর ফ্লাটগুলো বিক্রি হলে জিওবি ফান্ডে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে। 

সচেতন নাগরিকদের সংগঠন খুলনার নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, কেডিএর সব প্রকল্পই ঢিলেঢালা চলছে, যার পিছনে দায়িত্ব পালনে অনিহা রয়েছে। 

নাগরিক নেতারা বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ ধরনের ফ্লাট নির্মাণ হলে গরীব মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে। নিঃসন্দেহে এটা একটা ভালো উদ্যোগ।আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতারা। 

অপরদিকে কেডিএ'র নির্বাহী প্রকৌশলী মোরতোজা আল মামুন বলেন, ছয়তলা বিশিষ্ট ২২টি ভবনে ৪৪০টি ফ্লাট নির্মাণ করা হবে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় আকারের প্রকল্পগুলো একেবারে বাতিল না হয় সেই কথা বিবেচনায় নিয়ে ধীরগতিতে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। আগামী ২/১ বছরের মধ্যে কেডিএ'র প্রস্তাবিত সব প্রকল্প একনেকে অনুমোদন করা হবে।