site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

জেলার খবর
চরমপন্থি নেতা বড় শাহীন হত্যার কারণ খুঁজছে পুলিশ, গ্রেপ্তার নেই
প্রকাশিত: ইমরান 17 মার্চ 2025, 10:00 দুপুর
news-banner
খুলনায় চরমপন্থি নেতা শেখ শাহীনুল হক ওরফে বড় শাহীনকে হত্যার ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। কারা এবং কী কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনও পুলিশ খুঁজে বের করতে পারেনি। এদিকে গত দেড় মাস সন্ত্রাসী-চরমপন্থিদের তৎপরতা কিছুটা কম থাকলেও পুলিশের ঢিলেঢালা অবস্থানের কারণে সন্ত্রাসীরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বাগমারা ব্রিজের কাছে সন্ত্রাসীরা খুব কাছ থেকে শাহীনের মাথায় দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে রোববার দুপুরে মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


নিহত শাহীন নগরীর দৌলতপুর থানার কার্তিককুল এলাকার শেখ আব্দুর রশিদের ছেলে। চরমপন্থি নেতা শাহীনের বিরুদ্ধে দৌলতপুরের আলোচিত শহীদ ওরফে হুজি শহীদ হত্যা মামলাসহ ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। শাহীনকে হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। সন্দেহভাজন কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।


স্থানীয় লোকজন জানান, হুজি শহীদ খুন হলেও তার একাধিক ভাইপো ও সহযোগীরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছে। তারা এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে বলে তাদের ধারণা।

এ ব্যাপারে খুলনা থানার ওসি সানোয়ার হোসেন মাসুম বলেন, কারা এবং কী কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার জন পুলিশ কাজ করছে।


এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর শের-এ-বাংলা রোডের হাজীবাড়ি এলাকায় রনি নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি রাতে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে নগরীর তেতুঁলতলা এলাকায় গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর পুলিশ নগরীতে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এছাড়া চলে যৌথবাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান। এতে সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের কার্যক্রম আবারও ঝিমিয়ে পড়ায় সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও প্রতি রাতে কাউকে না কাউকে কুপিয়ে অথবা গুলি করে আহত করছে সন্ত্রাসীরা।