site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

জেলার খবর
শাকবাড়িয়া নদীর তীর থেকে ৩ মন ১০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
প্রকাশিত: ইমরান 17 মার্চ 2025, 04:30 দুপুর
news-banner
কয়রা উপজেলার দক্ষিনের জনপদ জোড়শিং গ্রামের শাকবাড়িয়া নদীর চরে ৩ মন ১০ কেজি হরিণের মাংস ফেলে পালিয়েছে শিকারীরা। সুন্দরবন হতে হরিন শিকার করে লোকালয়ে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে যৌথ অভিযানে এই হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত রবিবার( ১৬ মার্চ) রাত সাড়ে  ১২ টার দিকে সুন্দরবন  খাশিটানা বন টহল ফাঁড়ির সদস্যরা, আংটিহারা কোস্টগার্ড ও আংটিহারা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই হরিণের মাংস উদ্ধার করে।

খাশিটানা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানা রঞ্জন পাল জানান, সুন্দরবন হতে একদল  শিকারীরা হরিণ শিকার করে  মাংস লোকালয়ে নিয়ে আসছে বিক্রির জন্য। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদটি জানতে পেরে অভিযানে যাই আমরা । কিন্তু শিকারীরা   অভিযান জানতে পেরে জোড়শিং এলাকা সংলগ্ন শাকবাড়িয়া নদীর চরে মাংসগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে টহল ফাঁড়ির নিয়ে আসা হয়।


সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা ছন্মবেশে মাছ শিকারের আড়ালে হরিণ ধরার ফাঁদ পেতে সুন্দরবনে  নির্বকারে হরিণ শিকার করছে। পরে বন বিভাগের সদস্যদের  চোখ ফাকি দিয়ে ফাঁদে আটকানো হরিণ জবাই করে  মাংস কেটে লোকালয়ে এনে বিক্রি করছে। তবে  হরিণ শিকার বন্ধ না হলে প্রকৃতির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। বন্যপ্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সুন্দরবনে  হরিণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের শিকার করায় পরিবেশের জৈবিক চক্র বিঘ্নিত হচ্ছে।
সুন্দরবনের মতো সংরক্ষিত বনাঅঞ্চলের হরিণ শিকার করা সেখানকার জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ক্ষতি।
পরিবেশগত পরিবর্তন এবং বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।


খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বন্যপ্রানী নিধন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস আজ সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  আদালতের অনুমতিক্রমে আদালত চত্বরে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে।  তবে এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।