
লিখিত বিবৃতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনের অনৈতিক, পক্ষপাতদুষ্ট এবং দমনমূলক আচরণের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপিপন্থী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবির বিপরীতে শিক্ষাঙ্গনের অভ্যন্তরে এমন বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে না জানাতেই আমরা দেখতে পাই-প্রায় দুই মাস পর কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরপরাধ, আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে ২২ জনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তারা আরও বলেন, এই হামলার প্রকৃত তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া এবং অপরাধীদের যথাযথভাবে চিহ্নিত না করেই কীভাবে আন্দোলনরত নিরীহ শিক্ষার্থীদের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো-তা আমাদের মাঝে বিস্ময়ের উদ্রেক করে এবং বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কুয়েট প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই প্রক্রিয়াটি কুয়েট প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির নিষ্ক্রিয়তা, ব্যর্থতা ও পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই-আমরা এই প্রহসনের বিরুদ্ধে, আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আমরা আমাদের কুয়েট ভাই-বোনদের পাশে আছি। অনতিবিলম্বে কুয়েট প্রশাসন কর্তৃক যথোপোযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে এ দেশের ছাত্রসমাজ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।