
২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে। এর ফলে অবরুদ্ধ অঞ্চলে কোনো খাদ্য, চিকিৎসা সরবরাহ বা পণ্য প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা 'কূটনৈতিক কারণে' গাজায় 'মৌলিক পরিমাণে খাদ্য' সরবরাহের অনুমতি দেবে। চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বাধ্য করতে পারে - এমন আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর লক্ষ্যে তারা এই কৌশল নিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এই সপ্তাহে ৯০টিরও বেশি ত্রাণবাহী লরি গাজায় প্রবেশ করেছে।
তবে গাজার ভেতরের সূত্রগুলো মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি দিকে ওই ট্রাকগুলো আটকে রয়েছে।
সাহায্য সংস্থাগুলোও নিশ্চিত করেছে, কোনো মানবিক ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। গাজার বেসরকারি পরিবহন সমিতির প্রধান নাহেদ শুহিবার আলারাবি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২ মার্চের পর থেকে গাজা উপত্যকায় কোনো সাহায্য প্রবেশ করেনি। ত্রাণগুলো কারেম আবু সালেম ক্রসিংয়ে এখনো আটকে আছে।
উনআরডব্লিউএ মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা নিশ্চিত করেছেন, হাজার হাজার ত্রাণবাহী লরি ক্রসিংয়ে সারিবদ্ধ থাকলেও, কোনটিই গুদামে প্রবেশ করেনি বা গাজার অভ্যন্তরে অভাবী লোকদের কাছে পৌঁছায়নি।
গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিরা ক্রমশ খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে। সেখানকার লোকজন বলছে, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি 'মিডিয়ার বিভ্রান্তি' ছাড়া আর কিছুই নয়।
গাজার বাসিন্দা বারহাম জাররুব মিডিয়ার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, তারা বলেছিল গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিয়ে ট্রাক প্রবেশ করবে। কিন্তু একটিও ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেনি। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে, এমনকি গাজার ভেতরেও এমন কিছু দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, যদি কিছু সাহায্য আসেও, তবুও এটি 'জনসংখ্যার ২ শতাংশকেও কভার করবে না'। এর মানে হল মাত্র কয়েকটি পরিবার কিছু পেতে পারে এবং অনেক লোক কিছুই নাও পেতে পারে।