
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের খুজদারে বুধবার জিরো পয়েন্টের কাছে একটি স্কুলবাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের সন্ত্রাসী রাষ্ট্রীয় নকশা ও তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে বেলুচিস্তানে পরিকল্পিতভাবে একটি স্কুলবাসকে লক্ষ্য করে এই কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য হামলা চালানো হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, বুনয়ানুম মারসুস অপারেশনে ব্যর্থ হয়ে, ভারত এখন সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত করেছে। শিশু ও নিরীহ নাগরিকদের মতো সহজ লক্ষ্যে হামলা চালিয়ে দেশজুড়ে ভয় ও বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত সরকার এভাবে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মানবতা ও নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন করছে। এই জঘন্য হামলার পরিকল্পনাকারী, সহযোগী ও বাস্তবায়নকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং ভারতের মুখোশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্মোচন করা হবে। খুজদারের ডেপুটি কমিশনার জানান, আহতদেরকে সিএমএইচ খুজদারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, নিরীহ শিশু ও শিক্ষকদের ওপর হামলা এক বিভৎস ও অমানবিক কাজ। এই কাপুরুষোচিত হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন এবং শহিদ শিশুদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভিও হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে, তারা মানুষ নাÍ তারা জানোয়ার। স্কুলবাস লক্ষ্য করে হামলা চালানো একটি নিন্দনীয় ষড়যন্ত্র, যা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের হামলা জাতির মনোবল ভাঙতে পারবে না। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। মন্ত্রী আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং দোষীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।