
ইউক্রেনকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে স্লোভাকিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি খোলা চিঠিতে এ তথ্য জানান।
ফিকো স্পষ্ট করে বলেছেন, স্লোভাকিয়া আর ইউক্রেনকে অর্থ বা অস্ত্র দেবে না। তবে অন্য দেশ যদি সহায়তা করতে চায়, সেটিকে তারা সম্মান জানাবে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন কখনোই সামরিক শক্তির দিক থেকে আলোচনার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থানে ছিল না।
বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ সম্মেলনে স্লোভাকিয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং বেশিরভাগ ইইউ সদস্য রাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফিকো বলেন, ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু করা না হলে ইউরোপের প্রতিযোগিতা ধরে রাখা কঠিন হবে। তাই স্লোভাকিয়া গ্যাস ট্রানজিট পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছে।
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের বাকবিতণ্ডা নিয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প জেলেনস্কির মনোভাবের সমালোচনা করেন, আর জেলেনস্কি যুদ্ধের জন্য আরও সহায়তা চান।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, জেলেনস্কি এখনও শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পর্যন্ত জেলেনস্কিকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, তিনি এমন কিছু করেননি যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।