
ঢাকা অফিস :
বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার প্রধানের মধ্যকার বৈঠককে দুই দেশের জন্য ‘আশার আলো’ হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠককে বিএনপি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুরে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিমসটেকে সাইডলাইন বৈঠক হয়েছে, এটা খুব আনন্দের কথা। আমরা মনে করি ভূরাজনীতি এবং বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ-ভারতের এই অঞ্চলের যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আমাদের সামনে একটা আশার আলো তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে যে একটা বিটারনেস (তিক্ততা) তৈরি হয়েছিল, সেটা যেন আর বেশি সামনে না যায় অথবা এটা যেন কমে আসে, সেখানে একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইউনূস-মোদি বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। যদি দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট আলোচনা হয়, তবে সেটা ভালো। সামনে ড. ইউনূস আরও ভালো কিছু বয়ে আনবেন বলে প্রত্যাশা করি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শুধু শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠালেই হবে না। হাসিনার সঙ্গে তার সহযোগীদেরও পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার ফেরতের মাধ্যমে তার বিচার হতে হবে।’ ‘এ ছাড়া তিস্তা নিয়ে কোনো কথা হবে না, কিসের আলোচনা! চুক্তি পূরণ করতে হবে ভারতকে। হাসিনার আমলে যেসব অসম চুক্তি হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে,’ যোগ করে বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়।
বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানিয়েছেন।