আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ দেড় দশকে কখনো কারাগারে, কখনো হাসপাতালে আবার কখনো গৃহবন্দি অবস্থাতে ঈদ করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণ অভূত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পালিয়ে যাবার পর মামলা থেকে মুক্তি পান বেগম জিয়া। তারপর দীর্ঘ ১০ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন খালেদা জিয়া। এর আগে ২০১৫ সালে যখন লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন, তখনও তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে ছিলেন। ছিলেন ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তানরাও। কোকোর মৃত্যুর পর সেটি ছিল জিয়া পরিবারের জন্য এক দুঃসহ স্মৃতিময় ঈদ।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। মনোবলও বেড়েছে। লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি। নেতাকর্মীদের সাথে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময়সহ দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যও রাখছেন। তাই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ জিয়া পরিবারের জন্য অন্য রকম হবে। যদিও এবারের ঈদুল আযহায় ছেলে তারেক রহমান থাকছেন সুদুর লন্ডনেই। নাতনিরাও দেশের বাইরে। তবে ছেলের বউসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি এবারের ঈদ উদযাপন করবেন।

জানা গেছে, প্রতিবারের ন্যায় এবারো পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিক পশু কুরবানি দেয়া হবে। সে সব কুরবানির মাংস পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশপাশি গরীব, এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে। ঈদের দিন গুলশানের বাসা ফিরোজায় তিনি পরিবারের সদস্যদের ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।