
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এই সময়ে ঢাকার বায়ুর মান স্কোর ছিল ২৬৭।তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর ৩২৮! অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘দুর্যোগপূর্ণ বা বিপজ্জনক’ পর্যায়ে রয়েছে।
তালিকার তিনে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কাম্ফালা। সেখানকার বায়ুমান ১৯৪ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর। চারে থাকা ইরানের রাজধানী তেহরানের বায়ুমান ১৮৩, অর্থাৎ খুব অস্বাস্থ্যকর। পাঁচে থাকা ভিয়েতনামের হানোইয়ের বায়ুমান ১৮১। দূষিত শহরের তালিকার ছয়ে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, সাতে চীনের চংকিং, আটে নেপালের কাঠমাণ্ডু, নয়ে চীনের চেংডু ও দশে রয়েছে মিশরের রাজধানী কায়রো।
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে বায়ু পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।