site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

জাতীয়
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাসপোর্টের পরিচালক বরখাস্ত
প্রকাশিত: ইমরান 10 মার্চ 2025, 09:25 রাত
news-banner
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

রোববার (৯ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বহিরগমন-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বরখাস্ত আদেশ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি।এতে বলা হয়, ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা অনুয়ায়ী আদালত কর্তৃক চার্জশিট গৃহীত হয়েছে। সেহেতু, তৌফিকুল ইসলাম খানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ধারা ৩৯ (২) এর বিধান মোতাবেক ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।এর আগে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অর্ধকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে তিনি নিজ নামে ৩ কোটি ২২ লাখ ১৬ হাজার ৮১৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১ কোটি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৪ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া, ২৫ লাখ টাকার দায়-দেনার ঘোষণা দেন। কিন্তু অনুসন্ধানে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ১৪৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেলেও ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৩ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় নিয়মিত মামলা করা হয়।