
বুধবার (২০ মে) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, আমার বাসস্থানে এসে শপথ পড়ানোর প্রস্তাব দিলেও লাভ নাই।
ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন,
১. রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
২. আদালতের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটার আইনানুগ বাস্তবায়ন করতে হবে, তা যার পক্ষেই যাক।
এর আগে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আগামীকাল বুধবার (২০ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে আরও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলেও জানায় তারা।
ঢাকাবাসীর পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাবেক সচিব মশিউর রহমান। মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকালে ৬ষ্ঠ দিনের অবস্থান কর্মসুচি থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো এর মধ্যে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না আসলে আরও কঠোর কর্মসূচী দেবো। একইসাথে ঢাকা অচলেরও হুমকি দেন তিনি।
এসময়, কর্মসূচি ঘোষণার মঞ্চে এই আন্দোলন এবং দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন। তাদের পক্ষ থেকে নাগরিক সেবা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যেক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়ে ঢাকাবাসীর এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ঘোষণা করেন, আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে দাবি মানা না হলে এর পর থেকে পরিচ্ছন্নতা সেবা, ময়লা পরিবহনসেবা এবং বিদ্যুৎ সেবাসহ সকল ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সংগঠনগুলো হলো- স্ক্যাভেঞ্জার এন্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমাজ কল্যাণ সমিতি।
এছাড়া ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি শেষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য বুধবার (২১ মে) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় এই বিষয়ে শুনানি ও আদেশ হবে