
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য, খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, রমযান হচ্ছে কুরআন নাযিলের মাস। এই মাসে নাযিল হয়েছে বলেই রোযাকে ফরয করা হয়েছে। তাই এই রমযানকে তাকওয়া অর্জন ও কুরআনকে অনুধাবনের মাস হিসেবে আমরা বেছে নিতে পারি। যে রাতে কুরআন নাযিল হয়েছে সেই রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। রমযানের প্রতিটা মুহুর্তকে তাকওয়া অর্জনের জন্য কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু খুন-ডাকাতি, মাদক, ব্যাংক লুটপাট বন্ধ হয়নি। সমাজে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহর আইন ও সৎ মানুষের শাসন কায়েম করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ওমর (রা.)-এর শাসনামলে কেউ যাকাত নেওয়ার লোক ছিল না, কারণ তখন প্রকৃত ইসলামী অর্থনীতি বাস্তবায়িত হয়েছিল। যাকাত গরিবের অধিকার, এটি লুঙ্গি বা কাপড়ের মতো খয়রাতি বিতরণ নয়। যারা এটি খয়রাতের মতো বিতরণ করছে, তারা জাতির সঙ্গে তামাশা করছে। শনিবার নগরীর নতুনবাজারস্থ কেডিএ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় খুলনা সদর থানা কাঠমিস্ত্রী শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং খুলনা- ২৪৮৪) এর উদ্যোগে কাঠমিস্ত্রী শ্রমিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।কাঠমিস্ত্রী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলী হায়দার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ এর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ওলিউল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সহ সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান টিংকু। এতে অন্যান্যদের মধ্যে শ্রমিকনেতা সোহরাব হোসেন, মু. শফিকুল ইসলাম, মু. মুয়াজ্জল, মু. খোকন, মু. আলম, আব্দুল কুদ্দুস, মু. হেমায়েত, মু. সোহেল, মু. সোবহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, রাসুল (সা.) এই দুনিয়ায় এসেছিলেন কুরআনের শাসন কায়েম করতে। আমাদেরও জীবন বাজি রেখে হলেও আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আগে স্বাধীনভাবে একটু ইফতারও করতে পারি নাই, কথা বলতে পারি নাই। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেটা আমাদের ধরে রাখতে হবে, আগে একদল সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করতো আর এখন একদল করে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ইসলামী সুশাসনের কোন বিকল্প নাই।