site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

তথ্যপ্রযুক্তি
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে পাঠদান, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ফেরত চাইলেন টিউশন ফি
প্রকাশিত: আরিফুল ইসলাম 21 মে 2025, 01:40 রাত
news-banner
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে এক শিক্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুল ব্যবহার করে লেকচার নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক শিক্ষার্থী। শুধু ক্ষোভ প্রকাশেই থেমে থাকেননি, তিনি পুরো টিউশন ফির অর্থ ফেরতেরও দাবি জানিয়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে ফরচুন ডটকম জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এল্লা স্ট্যাপ্লেটন অভিযোগ করেন, অধ্যাপক রিক অ্যারোউড লেকচার নোট ও স্লাইড তৈরিতে চ্যাটজিপিটি, পারপ্লেক্সিটি এআই এবং গামা এআইয়ের মতো বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ব্যবহার করেছেন। অথচ শিক্ষার্থীদের এআই ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছিল।


স্ট্যাপ্লেটনের ভাষায়, পাঠদানের কনটেন্টে বারবার বানান ভুল, অসংলগ্নতা ও অতিরিক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসহ মানুষের ছবি দেখে তার সন্দেহ হয়। এমনকি নোটে ‘ChatGPT’ শব্দটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকায় অভিযোগ তোলেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিয়ে ফেরত চান আট হাজার ডলারেরও বেশি টিউশন ফি।

যদিও একাধিক আলোচনার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার দাবিটি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক অ্যারোউড নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে, তিনি চ্যাটজিপিটি, পারপ্লেক্সিটি এবং গামা এআই ব্যবহার করেছিলেন। তার বক্তব্য, 'পেছনে ফিরে তাকালে হয়তো আমি আরও সতর্ক হতাম। এখন আমার মনে হচ্ছে, এআই ব্যবহারে শিক্ষকদের সতর্ক হওয়া উচিত এবং শিক্ষার্থীদের কাছে স্বচ্ছ থাকা জরুরি।'


বিশ্ববিদ্যালয়টির কমিউনিকেশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেনাটা নিউল জানান, শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে এআই ব্যবহারে নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ইতিবাচক। তবে নীতিমালার মাধ্যমে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ে। প্রবন্ধ, অ্যাসাইনমেন্টসহ নানা কাজ দ্রুত শেষ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা এই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের মধ্যকার আস্থার সংকটও বাড়ে।

বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। অনেক শিক্ষার্থী এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে শিক্ষকদের এআই ব্যবহারের অভিযোগ করছেন। তাদের মতে, যদি শিক্ষকরাও চ্যাটজিপিটির মতো টুল দিয়ে পাঠদান করেন, তবে শিক্ষার্থীরা কেন এত টাকা খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন?

নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নীতিমালায় বলা হয়েছে, এআই ব্যবহারে বিষয়বস্তুর যথার্থতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে তা সংশোধন করে নিতে হবে। পাশাপাশি উপযুক্ত স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।