ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ব্যস্ততম বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সীমানায় আঘাত হেনেছে। এতে একটি রাস্তা ও একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সেখানে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রবিবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করার কয়েক দফা চেষ্টা সত্ত্বেও ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পাশে বিশাল একটি ধোঁয়ার কুণ্ডলী উপরের দিকে উঠছে — যা ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের স্পষ্ট প্রমাণ।
এই হামলার পর ইসরাইলি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট স্থগিত করে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বাতিল অথবা বিকল্প রুটে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর ‘বিমান ভ্রমণের জন্য আর নিরাপদ নয়’।
এই হামলার ফলে মধ্য ইসরায়েলের বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলি সংক্ষিপ্তভাবে স্থগিত করা হয়েছিল এবং কিছু কিছু পুনর্নির্দেশ করতে হয়েছিল। বিমানবন্দরের সমস্ত প্রবেশপথও সংক্ষিপ্তভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং সাইটের দিকে ট্রেন যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার পর মধ্য ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজানো হলে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন। কাটজ বলেন, ‘যে আমাদের আক্রমণ করুক না কেন, আমরা সাতগুণ পাল্টা আঘাত করব।’
সম্প্রতি ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা লোহিত সাগরে অবস্থানকারী রণতরী, মার্কিন ঘাঁটি এবং তেল ট্যাংকারেও হামলা করেছে।